মনের খোরাকের জন্যই পিয়ানো শিখছি: ন্যান্সি

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫ সময়ঃ ২:০৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

Nansi২০০৫ সালে ‘হৃদয়ের কথা’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয় ন্যান্সির। একই বছরে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও অভিষেক হয় তাঁর। পরের বছরে ২০০৬ সালে ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ ছবির ‘পৃথিবীর যত সুখ যত ভালোবাসা’ গানটির মাধ্যমে আলোচনায় আসেন ন্যান্সি।

২০০৯ সালে সংগীতা থেকে বের হয় ন্যান্সির প্রথম একক অ্যালবাম ভালোবাসা অধরা। তিন বছর পর ডেডলাইন মিউজিক থেকে বের হয় দ্বিতীয় একক রং।

১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সির তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘দুষ্টু ছেলে’। সম্প্রতি সাক্ষাতকারে ন্যান্সির মুখোমুখি। পাঠকদের জন্য তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।

**: ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে আপনার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘দুষ্টু ছেলে’। শুরুতেই এই অ্যালবাম প্রসঙ্গে জানতে চাই।
ন্যান্সি: ‘দুষ্টু ছেলে’ অ্যালবামে গান রয়েছে আটটি। তার মধ্যে একটি নজরুল সংগীত এবং বাকিগুলো মৌলিক গান। মৌলিক গানের শিরোনাম ‘মেঘের উল্লাস’, ‘স্বপ্ন ডানা’, ‘বনমালী’, ‘ভুল মানুষ’, ‘দুষ্টু ছেলে’, ‘নেকড়ের গর্জন’ ও ‘নির্ঘুম রাত’।

নজরুলের গানটির শিরোনাম ‘তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ’। এবারই প্রথম কোনো অ্যালবামে আমার কণ্ঠে নজরুলের গান শোনা যাবে। নতুন এই অ্যালবামের সংগীতায়োজনে চারটি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সব গানের মিক্স ও মাস্টারিং করেছেন পাভেল আরীন। এর আগে গত বছরের ২৫ জুলাই থেকে আমি অ্যালবামের গানগুলো গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির মোবাইল রেডিওতে প্রথম প্রকাশ করি। এরপর গানগুলো যেন আমার শ্রোতারা তাদের সংগ্রহে রাখতে পারে সেজন্য সিডি আকারে অ্যালবাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিই।

**: হাবিব-ন্যান্সি জুটির অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আছে। কিন্তু আপনার এই অ্যালবামে হাবিব ওয়াহিদের সাথে কোন দ্বৈত গান নেই। শ্রোতারা কি একটু হলেও হাবিব-ন্যান্সির গান শোনা থেকে বঞ্চিত হল না?
ন্যান্সি: হ্যাঁ, হাবিব ভাইয়ের সাথে আমার গাওয়া গানগুলো শ্রোতারা পছন্দ করেছে এটা ঠিক। কিন্তু সেই গানগুলোর বেশির ভাগই ফিল্মের গান। সামনে কিছু ফিল্মে হাবিব ভাইয়ের সঙ্গে আমার গাওয়া আরও কিছু গান প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। সুতরাং আমার মনে হয় না শ্রোতারা বঞ্চিত হবে। আর এটা যেহেতু আমার একক অ্যালবাম তাই সবগুলো একক গানই রেখেছি।

**: আপনার একক অ্যালবাম অনেক দিন পর প্রকাশিত হল। আপনার অনেক ভক্ত হয়তো এই অ্যালবামটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অ্যালবামের গানগুলো ভক্তদের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবে বলে আপনার বিশ্বাস?
ন্যান্সি: আমি শতভাগ আশাবাদী যে আমার ভক্ত শ্রোতাদের অ্যালবামের গানগুলো ভালো লাগবে। গানের ভেতর অনেক নতুনত্ব পাবেন তারা। তবে তাদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ যে তারা যেন অ্যালবামটি কিনে শোনে। শ্রোতারা যদি তাদের নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন হয় তাহলে আমরাও তাদের আরও ভালো ভালো গান উপহার দেওয়ার অনুপ্রেরণা পাবো।

**: এই অ্যালবামে আপনি বলতে গেলে নতুনদের নিয়েই কাজ করেছেন। গানের কথা থেকে সুর, সংগীতায়োজন সব বিভাগেই। এমন সিদ্ধান্তের কারণ কি?
ন্যান্সি: আমি মূলত যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের কেউ কেউ এখন খুব বেশি কাজ করছেন না, আবার কেউ কাজ করছেন শুধুই ফিল্মের গানে। তাই এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার অ্যালবামে যারা কাজ করেছেন তারা নতুন হলেও অনেক ভালো কাজ করেছেন। শ্রোতারা গানগুলো শুনলেই তা বুঝতে পারবেন। তাছাড়া একটা সময় আমি যখন নতুন ছিলাম তখন হাবিব ভাই যদি আমাকে নতুন বলে মূল্যায়ন না করতেন কিংবা সুযোগ না দিতেন তাহলে কি আমি আজকের ন্যান্সি হতে পারতাম! সুতরাং নতুন হলেও আসলেই যাদের মেধা আছে তাদের মূল্যায়ন করা উচিৎ। আমি সেটিই করার চেষ্টা করেছি।

**: মোবাইল রেডিওতে গান প্রকাশের পর কেমন সাড়া পেয়েছেন?
ন্যান্সি: শ্রোতাদের কাছে থেকে মোটামুটি সাড়া পেয়েছি মোবাইল রেডিওতে গান প্রকাশের পর। আসলে অ্যালবামটি প্রকাশ করার পর আসল সাড়া বোঝা যাবে। এখন আমি সেটির জন্যই অপেক্ষা করছি।

**: গতবছর অডিও অঙ্গনে আপনার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। প্রতিযোগিতার এই সময়ে আপনার এই অনুপস্থিতি আপনাকে পিছিয়ে দিতে পারে বলে কি আপনার মনে হয় না?
ন্যান্সি: আমার যদি ১০০টি গাওয়া গান থাকে তার ভেতর ৮০টি গান আমি ফিল্মে গেয়েছি। আসলে আমি নিজেকে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করি। প্লেব্যাক করার মাধ্যমে কিন্তু আমি আমার শ্রোতাদের নিয়মিত গান উপহার দিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং অডিও অঙ্গনে কম উপস্থিতি যে আমাকে পিছিয়ে দিচ্ছে এমনটি আমার মনে হয় না।

**: বর্তমানে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে কাদের কাজ আপনার কাছে ভালো লাগে?
ন্যান্সি: এখন যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে অয়ন চাকলাদারের কাজ আমার অনেক ভালো লাগে। এছাড়া ইমরান, কিশোর, পৃথ্বীরাজ, সন্ধির কাজও আমার ভালো লাগে। মেয়েদের ভেতর ঝিলিক, কর্নিয়া, কোনালের গান আমার ভালো লাগে।

**: সম্প্রতি আপনি পিয়ানো শেখা শুরু করেছেন। এ সম্পর্কে কিছু বলুন।
ন্যান্সি: হ্যাঁ। আমি এবং আমার স্বামী জায়েদ একসাথে রোমেল আলীর কাছে পিয়ানো শেখা শুরু করেছি। মানুষের শেখার কোন বয়স কিংবা শেষ নেই। বলতে পারেন নিজের মনের খোরাকের জন্যই পিয়ানো শিখছি। তবে এক্ষেত্রে আমার থেকে জায়েদের আগ্রহটাই যেন বেশি।

**: আপনার দুই মেয়ে রোদেলা এবং নায়লাকে নিয়ে কিছু বলুন।
ন্যান্সি: আমার বড় মেয়ে রোদেলার ফটোগ্রাফির উপর অনেক আগ্রহ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি গানের প্রতিও তার আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। সে গিটার শেখা শুরু করেছে। তাছাড়া তার গানের কণ্ঠও অনেক ভালো। মা হিসেবে নয়, একজন শ্রোতা হিসেবে বলছি যে রোদেলা যেমন গান করে এভাবে যদি সে চালিয়ে যেতে পারে তবে একদিন সে অনেক বড় একজন কণ্ঠশিল্পী হবে। আর ছোট মেয়ে নায়লা তো এখনও বেশ ছোট। গানের সাথে দুই মেয়েকে নিয়েই আমার এখন যত ব্যস্ততা।

প্রতিক্ষণ/এডি/সুমন,সূত্র: বাংলামেইল.

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G